জামালপুরে জামাই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্বশুর ও তাঁর পরিবার আত্মীয়-স্বজনকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব জামালপুর মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম পৌরসভার দক্ষিন কাচারীপাড়া এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এক ভাই ও এক বোন এবং আমাদের মা মোছা. রাবেয়া খাতুন জীবিত আছেন। আমার বাবা হারুন অর রশিদ চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর জামালপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে আামাদের বসত বাড়ির সিংহজানী মৌজার ২২ শতাংশ জমি আমাকে রেজিস্ট্রি করে দেয়। এরআগে আমার ছোট বোন মনিরা আক্তারকেও ১০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। এরপর আমার বোন আমাদেরকে পারিবারিকভাবে হয়রানি ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছে যে, মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে ও ঘুষের বিনিময়ে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।’
রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার ছোট বোন মনিরা আক্তারের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সরকার প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা প্রতারনার মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। এই মামলাটি তদন্ত পিবিআই করছে। পিবিআই কার্যালয়ে স্ব-শরীরে গিয়ে আমার মা রাবেয়া খাতুন, স্বাক্ষী ও আত্মীয় স্বজনেরা স্বাক্ষী দিয়েছেন। আমি সরকারি খরচে জমি রেজিস্ট্রি করেছি। তারা ঘুষের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভূয়া, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’
রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পৈত্রিক আরো জমি রয়েছে। আমার বাবার অবর্তমানে বোন ওয়ারিশ সূত্রে সেইসব জমির ভাগ পাবে। বসতবাড়ির জমি লিখে দেয়ার পরে আমার বোন স্বামী পুলিশ কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে আমার নামে অপপ্রচার করছে। মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এ বিষয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা তাদের ভাই বোনের বিষয়। জমির মালিক তো আমি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদুল ইসলামের
ভাতিজা মো. রকিবসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।