
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ নির্বাচনে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)—তাদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদকে। তিনি পেশায় শিশু ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং বর্তমানে লন্ডনের একটি হাসপাতালে কর্মরত। ডা. ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে মানবসেবা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিনি চৌগাছা ও ঝিকরগাছার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন। এ কারণে স্থানীয়ভাবে তার জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডা. ফরিদ বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার জন্য। স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এ আসনকে একটি মানবিক মডেল অঞ্চলে রূপ দিতে চাই।”জামায়াতের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে ইতোমধ্যে প্রাথমিক সংগঠন কাঠামো গঠিত হয়েছে এবং স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সাবিরা নাজমুল মুন্নী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় এবং নারী নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করছেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাবিরা নাজমুল বলেন, জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি। আমি চাই চৌগাছা ও ঝিকরগাছাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর উন্নয়নের মডেল আসনে পরিণত করতে।”বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকলেও দলীয় হাইকমান্ড শেষ পর্যন্ত নারী নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নারী ভোটার সংখ্যা (প্রায় ৫২%) বেশি থাকায় এ সিদ্ধান্ত কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। যশোর-২ আসনে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার ভোটার রয়েছেন, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী। রাজনৈতিকভাবে এই আসনটি বহু বছর ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে জামায়াত ও বিএনপি দুই দলই প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে ব্যাপক জনসংযোগে ব্যস্ত। তবে ভোটারদের বড় একটি অংশ এখনো নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন।চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনে আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদ এবং বিএনপির সাবিরা নাজমুল মুন্নী —এই দুই প্রার্থীই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মাঠের প্রচারণা ও ভোটার সংযোগই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে কে পারবেন জনগণের আস্থা অর্জন করতে।
মন্তব্য করুন